শরীরে গুটি, ফুসকুড়ি কিংবা ক্ষত হলে রোগীর শরীরে ‘ইনফেকশন’ দেখা দিতে পারে। ক্ষত থেকে ‘ইনফেকশন’ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন অধিক ওজনের মানুষেরা। এ ছাড়া ক্ষতস্থানে রক্ত সরবরাহ কমে গেলে ‘ইনফেকশন’ হতে পারে। বিষয়ে ডা. অনিরুদ্ধ সরদার, আবাসিক সার্জন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘রোগী যদি পুষ্টিহীনতায় ভোগে বা স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে অধিক বেশি ওজনের হয় তাহলে শরীরে ক্ষতস্থানে ‘ইনফেকশন’ হতে পারে। যাদের স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন তারাও রয়েছেন উচ্চ ঝঁকিতে।’’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘‘রোগীর যদি মেটাবলিক ডিজিজ ‘ডায়াবেটিস মেলাইটাস’ থাকে তাহলে ক্ষতস্থান থেকে ‘ইনফেকশন’ হতে পারে। রোগীর শরীরের যদি ইউরেনিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলেও ‘ইনফেকশন’ হতে পারে। রোগী জন্ডিসে আক্রান্ত হলে ‘ইনফেকশন’ তৈরির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি কমে যায়, যদি কোনো রোগী ‘স্ট্রয়েড’ নামক ওষুধ খায়, কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি নেয় সেকারণেও তার শরীরের ইমিউনিটি কমে যায়। এবং ক্ষত থেকে শরীরে ‘ইনফেকশন’ছড়িয়ে পড়তে পারে। ’’শরীরে কোনো ক্ষত তৈরি হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।